চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক আপনি কি চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে খোঁজাখুঁজি করছেন বা জানতে চাচ্ছেন ? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনি আজকের আর্টিকেলের ভিতরে জানতে পারবেন চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।

চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা

সেই সাথে আরো জানতে পারবেন চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও সময় ও রিলেটেড যাবতীয় সকল তথ্য সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্র ঃ চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো বা আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেল এর ভিতরে আলোচনা করতে চলেছি চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা ও চিয়া সিড খাওয়ার সময় ও নিয়ম দাম ইত্যাদি সম্পর্কে।

আপনি যদি আজকের টি সম্পন্ন পড়েন তাহলে আপনি চিয়া সিড সম্পর্কে সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং ব্যবহার উপকারিতা অপকারিতা খাওয়ার সময় নিয়ম ইত্যাদি সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।

চিয়া সিড কি

চিয়া সিড হল এক প্রকার বীজ। এই বীজটা খেয়ে আসছে। এটি শরীরের জন্য খুব উপকারী। চিয়া সিড হল সালভিয়া হিশপানিকা নামক একটি উদ্ভিদের বীজ যা মানুষ শরীরের উপকারের জন্য খেয়ে থাকে। চিয়া সিড দেখতে ছোট ছোট তিলের মতো সাইজের সাদা কালো রঙ্গের হয়ে থাকে।

চিয়া সিড হচ্ছে এমন একপ্রকার বীজ যা এ বিজে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ কার্যকারিতা ও শক্তির উৎপাদন এবং শরীরের অনেক সমস্যা দূর করতে কাজে লাগে। এজন্যে অনেক আগে থেকে চিয়া সিড খেয়ে আসছে প্রায় সকল মানুষ।

চিয়া সিড এর উপকারিতা

চিয়া সিড বীজ টার ভিতর অনেক উপকারিতা রয়েছে। একজন মানুষের প্রায় অনেক রকম সমস্যা দূর করতে এবং শরীরের বিভিন্ন কার্যক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চিয়া সিড খেয়ে থাকে। তাহলে চলুন জেনে নেই চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ঃ

  • চিয়া সিড ওজন কমাতে কার্যকর
  • চিয়া সিড খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
  • চিয়া সিড হাড়ের ও পেশীর শক্তি বৃদ্ধি করে
  • চিয়া সিড হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
  • চিয়া সিড বিভিন্ন পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়
  • অনেক রোগের সমস্যা দূর করে দেয়
  • চিয়া সিড মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ বের হয়ে যায়
  • চিয়া সিড খাওয়ার ফলে শরীরের রক্তের সুগার স্বাভাবিক থাকে
  • চিয়া সিড খেলে ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা ও ঝুঁকি কম থাকে
  • মেদ ও ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে
  • শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে
  • চিয়া সিড কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে
আরো অনেক চিয়া সিড এর বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। শরীরের সকল সমস্যা দূর করার জন্য এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি ও কার্য ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে চিয়া সিড খাবার অভ্যাস করে তোলা অতীব জরুরী।

আপনি যদি দ্রুত আপনার ওজন কমাতে চান তাহলে আপনি চিয়া সিড খাওয়ার ফলে আপনি আপনার ওজন দ্রুত কমাতে পারবেন। এবং আপনার যদি পেশির শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে আপনি চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

চিয়া সিড এর অপকারিতা

চিয়া সিড এর অনেক উপকারিতা রয়েছে তেমনি ঠিক চিয়া সিড এর কিছু অপকারিতা রয়েছে। আপনি যদি সঠিক নিয়ম সঠিক সময় অনুযায়ী চিয়া সীড খান তাহলে আপনার চিয়া সিড কোন অপকারিতা জনিত সমস্যা পড়তে হবে না।
আপনি যদি সঠিক নিয়ম অনুযায়ী চিয়া সিড ব্যবহার করে থাকেন এবং খেয়ে থাকেন তাহলে আপনি বিভিন্ন অপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এর সমস্যায় পড়তে পারেন। নিচে চিয়া সিড এর অপকারিতা তুলে ধরা হলো 

  • নিয়মমাফিক যদি চিয়া শীড না খান অথবা বেশি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার দ্রুত ওজন অনেক কমে যেতে পারে। বা বিভিন্ন স্বাস্থ্যহীনতাই সমস্যায় পড়তে পারেন।
  • আপনি যদি নিয়মমাফিক বা পরিমাণ মতো চিয়া সিড  না খান পরিমাণের থেকে যদি বেশি খান তাহলে আপনার শরীরের কোন অঙ্গ ক্যান্সার জনিত সমস্যায় পড়তে পারে।
  • চিয়া সিড খালি পেটে একদমই খাওয়া যাবেনা খালি পেটে খাবার ফলে চিয়া সিড এর ফাইবারের কারণে আপনি বিভিন্ন স্বাস্থ্যজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
  • আপনি যদি সময় মতো এবং নিয়মমাফিক চিয়া সিড না খান তাহলে আপনার শরীরে চিয়া সিড এর ফাইবারের ফলে আপনার শরীর ফুলে যেতে পারে।
  • শরীরে চিয়া সিড  এর পুষ্টির পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে আপনার শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে চুলকানি বা এরকম কোন কিছু হতে পারে।
  • চিয়া সিড শরীরের রক্তচাপ ও রক্তের সুগারের পরিমাণ কমাতে ও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু চিয়া সিড এর পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে এগুলো সমস্যায় ভুগতে পারেন।
উপরে উল্লেখিত সমস্যা ছাড়া চিয়া সিড আরো অনেক অপকারিতা রয়েছে। যদি আপনি নিয়মমাফিক বা সময় মত সঠিক নিয়ম অনুযায়ী চিয়া সিড  ব্যবহার না করেন তাহলে আপনি উপরে উল্লেখিত অপকারিতা বা সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হতে পারেন।

চিয়া সিড খাওয়ার সময়

চিয়া সিড খাওয়ার উপযুক্ত ওসব থেকে ভালো সময় হচ্ছে রাতে ও সকালে। রাতে খাওয়া দাওয়া করার পরে ঘুমাতে যাওয়ার কিছুক্ষণ চিয়া সিড খেয়ে ঘুমিয়ে যাওয়া হচ্ছে উপযুক্ত সময়। রাতে চিয়া সিড খাওয়াটা হচ্ছে সবথেকে উপযুক্ত সময়।

আরেকটি উপযুক্ত সময় হচ্ছে সকাল এ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে চিয়া সিড খাওয়া। যার ফলে আপনার শরীরের বহিরাগত সকল সমস্যা দূর করতে এবং শরীরের শক্তি ও হজম ক্ষমতার বৃদ্ধি পেতে সহায়তা করবে।

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

আপনার শরীরের অবস্থা বা ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী চিয়া সিড খাওয়া তা উত্তম কারণ চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা দুইটাই রয়েছে। তবে একজন সাধারন বা নরমাল ব্যক্তির জন্য কিভাবে চিয়া সিড খাবেন বা কতটুকু কি পরিমানে খাবেন বা নিয়ম কি তার নিচে তুলে ধরা হলো ঃ
এক গ্লাস পানি পরিপূর্ণ নিয়ে তার মধ্যে দুই চা চামচ চিয়া সিড এর পরিমাণ মিশ্রণ করুন। ২ চা চামচ চিয়া সিড গ্লাসের ভিতরে দিন। এবার গ্লাসের ভিতরে দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি হচ্ছে সাধারণ ব্যক্তিদের জন্যচিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম। এ নিয়মে চিয়া সিড খেতে হবে।

আপনি যখন চিয়া সিড খাবেন তার ২৫ থেকে ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই চিয়া সিড গ্লাসটা রেডি করবে। গ্লাস রেডি করার পর ২৫ থেকে ৩০ মিনিট পরে চিয়া সিড খাবেন।

চিয়া সিডের দাম কত

চিয়া সিডের দাম কোথাও কোন নির্ধারণ ভাবে উল্লেখ করা নাই। বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জায়গাতে বিভিন্ন ধরনের প্রাইজ হয়ে থাকে। সাধারণত চিয়া সিড ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার ভিতর কেজি হয়ে থাকে।

চিয়া সিডের দাম নির্ধারণ হয় তার গুণগত মানের উপরে। চিয়া সিডের মান যদি ভাল হয় তাহলে চিয়া সিডের দাম হাজার টাকা কেজির উপরে হতে পারে। অনলাইন থেকে অর্ডার করলে আপনি বিভিন্ন দামে পেয়ে থাকতে পারেন।

শেষ কথা ঃ চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা 

প্রিয় পাঠক আপনি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন যে আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলের ভিতর আলোচনা করার চেষ্টা করলাম চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা ও চিয়া সিড সম্পর্কিত সকল তথ্য। 

আমাদের আজকের চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত আর্টিকেলটি আপনার কেমন লাগলো আপনার মূল্যবান মতামতটি জানিয়ে দিন আমাদের কমেন্ট বক্সে। আজকের আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন সবার কাছে। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লার্নিং পয়েন্ট ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url